সুন্দর স্কিন পেতে সঠিক খাবার ও স্কিন কেয়ারের যেমন প্রয়োজন আছে ঠিক তেমনি সুন্দর পরিবেশের প্রয়োজন।যে ঘরে আপনি রোজ ঘুমোচ্ছেন বা সারাদিন যে ঘরে কাটাচ্ছেন সেই ঘরের পরিবেশ টা আপনার স্কিনের উপর প্রভাব ফেলে।স্কিন কেয়ার করার পাশাপাশি নিয়মিত ঘর ক্লিন করা দরকারি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সুন্দর স্কিনের জন্য ঘরের পরিবেশ কেমন থাকা উচিত।চলুন তবে শুরু করি…
যেভাবে ঘর ক্লিন থাকলে স্কিন গ্লোয়ি হয়:

ঘর ক্লিন থাকলে মন থাকে সতেজ।মন সতেজ থাকতে ঘরের পরিবেশ অবশ্যই ভালো রাখতে হবে।আপনি হয়তো জানেন না আপনার মন যতটা ভালো থাকবে আপনার স্কিন তত বেশি গ্লো করবে।খাদ্য খাবারের পাশাপাশি আপনি কেমন পরিবেশে থাকছেন সেইটাই কিন্তু আপনার স্কিনে প্রভাব ফেলে।স্কিন কে ভেতর থেকে গ্লো করতে হলে সুন্দর পরিবেশ টাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ঘরের পরিবেশ যেমন হওয়া উচিত:
যেখানে আপনি সারাদিন এবং রাত কাটাচ্ছেন সেই ঘর টা সৌন্দর্যের আসল জায়গা।এই ঘর কে আপনি যেমন রাখবেন আপনার স্কিন টাও তেমন হয়ে উঠবে,আপনি যতই ভালো খাবার খান বা সঠিক স্কিন কেয়ার করুন না কেনো।ঘরের পরিবেশ ত মনোরম থাকলে মন ও স্কিন দুটোই ভালো থাকে।
জানালা:
আপনি যে ঘরে থাকেন সেই ঘরে অবশ্যই পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসা যাওয়া করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।বদ্ধ করে থাকা হেলথ ও স্কিন দুটোর জন্যই ক্ষতিকর।তাছাড়া আলো বাতাস পূর্ণ ঘরে থাকলে মন সতেজ হয় এবং এটি আপনার স্কিন কে সুন্দর করে তোলে।

বেডশিট ও বালিশ:
আপনার খাটে যে বেডশিট টি আছে সেটিকে অবশ্যই সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করা দরকার।সাথে বালিশ এর কাভারও পরিষ্কার করতে হবে।কারণ এই বেডশিট ও বালিশে মাথা রেখেই আপনি ঘুমোন।তাই এই দুটি জিনিস পরিষ্কার না থাকলে এতে থাকা বিভিন্ন ময়লা ও জীবাণু স্কিন এর ক্ষতি করতে পারে এমনকি পিম্পল এর প্রবলম দেখা দিতে পারে।
লাইট:
রাতে ও ঘরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।অল্প আলোর ঘরে বেশিদিন থাকলে স্কিনে বিভিন্ন প্রবলেম দেখা দিতে পারে তাই ঘরে অবশ্যই ভালো আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে রাতেরবেলা।তাছাড়া অল্প আলোতে থাকলে চোখের সমস্যা দেখা দেয়। কমবয়সে চোখের ক্ষতি না করতে চাইলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকা খুবই দরকার।
স্পেস :
ঘরে পর্যাপ্ত স্পেস থাকারও প্রয়োজন আছে।এতে আপনার ঘর টা থাকবে পরিষ্কার।ঘরে একটু স্পেস থাকলে মনে অনেক প্রশান্তি আসে আর মন ভালো থাকলে শরীর এবং স্কিন খুব দ্রুত ভালো হয়ে ওঠে।আপনার ঘরে অবশ্যই পর্যাপ্ত স্পেস থাকতে হবে যাতে ঘরের ভিতর চলাচল করা যায় এবং চেষ্টা করবেন ঘরের
রুম কালার:

আপনার রুম কালার কেমন সেইটাও কিন্তু আপনার স্কিনের উপর প্রভাব রাখে।যেমন রুমের কালার সাদা হলে রুম টি অনেক বেশি পরিষ্কার লাগে এবং মন ও স্কিন সতেজ হয়ে ওঠে।রুমের কালার সবুজ হলে সেইটা আপনাকে এনার্জি ও কনফিডেন্ট প্রদান করে।হলুদ কালারের রুম হলে সেইটি দেখলেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।আর মন ভালো থাকলেই স্কিন ভালো থাকে।তবে চেষ্টা করবেন রুমে যে কালার তাই করবেন কালার টা যেনো হালকা হয়,এতে আলোর বিকিরণ ভালো হয় এবং ঘরও আলোকিত থাকে।
ঘর পরিষ্কার করা:
আপনার রুম টি কে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।কারণ ঘরে যদি ধুলাবালি বা ময়লা থাকে তবে সেইটা আপনার হেলথ ও স্কিন কে অসুস্থ করে দিতে পারে।সুস্থ স্কিন,শরীর ও মন পেতে আপনার ঘর কে নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
ঘর সাজানো:
ঘরে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে ঘর সাজিয়ে রাখতে হবে।আপনি চাইলে ন্যাচারাল ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন।ন্যাচারাল ফুল দিয়ে ঘর সাজালে ঘরে ফুলের সুবাস ছড়িয়ে থেকে এতে ঘরের পরিবেশ ভালো থাকবে এবং আপনার মন ও ভালো থাকে।এছাড়া আপনি জানালার পাশে টবে ছোট ছোট ফুল গাছ লাগাতে পারেন।গাছের কাছে কাছে থাকলে মন,শরীর ও স্কিন সতেজ থাকে।
ছবি :

ঘরের দেয়াল সাজাতে ছবির কোনো ব্যতিক্রম নেই।কিন্তু কেমন ছবি দেয়ালে টানবেন?আপনি যেকোনো মোটিভেশনাল ছবি বা উক্তি কে আপনার দেয়ালে টানাতে পারেন।এটি আপনাকে মোটিভেট করবে আপনার গোলে পৌঁছাতে এবং যখন আপনি মোটিভেটেড থাকবেন তখন আপনার মনে কোনো নেগেটিভ চিন্তা আসবে না তাই মন ফুরফুরে থাকবে।জার প্রভাবে আপনার স্কিনের উন্নতি হবে।
বিভিন্ন স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করার পাশাপাশি নিজের ঘরটি কে সুন্দর রাখুন।এটি আপনার স্কিন কে ভিতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।তাছাড়া মন সতেজ রাখার জন্য একটি সমসম্মত পরিবেশ অবশ্যই জরুরি।আপনার সুন্দর ও সতেজ মন আপনার স্কিন কেও সুন্দর করে তুলবে।
পানি:

এছাড়া বেশি বেশি করে পানি পান করবেন।সারাদিনে ৩/৪ লিটার পানি পান করলে আপনার স্কিন আপনাআপনি গ্লো করতে শুরু করবে।রোজকার ব্যস্ত জীবনে এই সামান্য একটু সচেতনতা আপনার স্কিন কে গ্লোয়ি করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে।
আপনি সারাদিনে কতটুকু পানি পান করেন??