মাত্র এক মাসেই কোনো জিম ছাড়াই আপনার ওজন ১০ কেজি কমাতে অবশ্যই আমার বলা টিপস গুলো ফলো করুন।দ্রুত ওজন কমাতে আমার টিপস আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত ওজন কেউ চাই না।সবাই নিজের শরীর নিয়েই কম্ফর্টাবেল এবং কনফিডেন্ট থাকতে চাই।কিন্তু শরীরের অতিরিক্ত ওজন বাধা হয়ে দাঁড়ায়।আজকাল ফিট থাকা খুবই জরুরি,নির্দিষ্ট চাকরির জন্যও ওজন ঠিক থাকা দরকারি তাই ফিট থাকতে অনকেই আছেন যারা লক্ষ লক্ষ টাকা করছেন।কিন্তু তবুও ফিট হতে পারছেন না।

ওজন কমানোর মোটিভেশন:
ওজন কমানোর এই জার্নি তে মোটিভেটেড থাকা টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই সবসময় মোটিভেটেড থাকার উপায় খুঁজে নিন।পরিবার এবং বন্ধুদের মাঝে নিজের কাজের প্রতি সাপোর্ট তৈরি করুন এটি আপনাকে আপনার লক্ষ পৌঁছাতে সাহায্য করবে।নিজের সামান্যতম পরিবর্তনে নিজেকে পুরস্কার দিন।আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে কতো টা ওজন কমছে চেক করুন।ওজন কমাতে ডিটারমাইনড এবং মোটিভেটেড থাকুন।
ওজন কমানোর সহজ কিছু টিপস:
আপনিও কি ওজন কমিয়ে ফিট হতে চাইছেন তাহলে আপনি একদম ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।সামান্য কিছু টিপস ফলো করলেই আপনার ওজন কমাতে পারবেন।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে মাত্র এক মাসের মধ্যেই আপনি আপনার শরীরের ১০ কেজি ওজন কমাতে পারবেন।তবে চলুন শুরু করি…
১.ক্যালোরি:

চেষ্টা করবেন ক্যালরি গ্রহণ না করতে।বিশেষ করে আপনার যদি বেলি ফ্যাট থেকে তাহলে অবশ্যই ক্যালোরি থেকে দূরে থাকবেন।ওজন কমাতে আপনাকে চিনি খাওয়া অবশ্যই বাদ দিতে হবে কারণ মাত্র ১ চা চামচ চিনি তে প্রায় ১৬% ক্যালোরি থাকে।তাই অবশ্যই চিনি খাওয়া বাদ দিন।আপনি যত কম ক্যালোরি খাবেন তত আপনার বেলি ফ্যাট বার্ন হবে অর্থাৎ কমে যাবে।
২.প্রোটিন:
প্রোটিন আমাদের শরীরে খুবই দরকারি।প্রোটিন শরীরের দুর্বল মাংস পেশী কে স্ট্রং করে তোলে যা সহজেই শরীরের অতিরিক্ত চর্বি বার্ন করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩.খাবার:
ফাস্টফুড থেকে দূরে থাকবেন কারণ ফাস্টফুড এ থাকে প্রচুর পরিমাণে অসম্পৃক্ত চর্বি বা ট্রান্স ফ্যাটসমৃদ্ধ। এ ধরনের চর্বি রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়।পাশাপাশি উচ্চমাত্রার লবণ, টেস্টিং সল্ট বা মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট ও কৃত্রিম রং থাকায় ফাস্টফুড শরীরে চর্বি জমতে সাহায্য করে।সমান ঝুঁকি থাকে ডুবো তেলে ভাজা ফাস্টফুডেও।
৪.পানি:

সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।প্রতি এক ঘন্টা পর পর পানি পান করুন।ওজন কমানোর বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রত্যেক খাবারের আগে যে এক গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়েছে এবং তার ফলেই শরীরের ফ্যাট কমে গেছে।পানি আমাদের শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।খাওয়ার সময় পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।খাওয়ার ১০/১৫ মিনিট আগে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫.ব্যায়াম:
দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সকালে এবং বিকালে সামান্য কিছু ব্যায়াম আপনার শরীরের সর্বত্র ওজন কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।ব্যায়াম করার জন্য আপনাকে জিমনেশিয়াম বা পার্কে যেতে হবে এমন টা কিন্তু একদমই নয়।সাঁতার কাটা,সাইকেল চালানো,হাঁটতে যাওয়া বা একটু দৌড়ানো,ওজন কমাতে সব চেয়ে কার্যকরী কিছু ব্যায়াম।

বোনাস টিপস:
৬.গ্রিন টি ও সালাদ:

গ্রিন টি তে থাকা উপকারী উপাদান আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।গ্রিন টি শরীরের রক্তে কোলেস্টরল এর মাত্রা কমিয়ে শরীরের ওজন সাভাবিক রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।একটি গবেষণায় দেখা যায়,সারাদিনে ৪ কাপ গ্রেন টি খেলে আপনার ওজন ৪০০ গরম পর্যন্ত কমাতে পারে।গ্রেন টি এর পাশাপাশি সারাদিনে বিভিন্ন রঙের ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি সালাদ খাওয়া অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট:
ওজন কমাতে সারাদিন কি কি খাবার খাচ্ছেন এবং কি খাবেন সেইটার একটা চার্ট থাকা খুব দরকার।সারাদিন নিয়ম মেনে খাবার গরম করতে হবে এবং অবশ্যই রোজ একই টাইমে খাবার গুলো খেতে হবে।চলুন ওজন কমাবার একটি খাবার তালিকা শেয়ার করি আপনাদের সাথে।

এই খাদ্য তালিকায় দেওয়া সব খাবার গুলো নির্দিষ্ট টাইমে গ্রহণ করলে আপনার ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমতে শুরু করবে।এই খাদ্য তালিকা টি ফলো করুন এবং সব দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন।তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম কিন্তু ওজন কমানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ।তাই চিন্তা মুক্ত থাকুন,পর্যাপ্ত ঘুম এবং আমার টিপস ফলো করুন।
অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফিট থাকতে আপনি কতো ঘন্টা জিমে থাকেন?